Aladin
Author: Ahnaf Tahmid
ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে এসে নিজের গলা দু’ফাঁক করে দিলো উঠতি মডেল চিত্রা।
‘নিঃসঙ্গ জীবনে একজন সঙ্গী চাই। বন্ধু হবে?’- বিজ্ঞাপনটা দেখে চোখ লোভে চকচক করে উঠল কন আর্টিস্ট আরাফের। বিশাল বড় দাঁও মারতে পারবে ভেবেছিল। শেষ রক্ষা হলো না। নিজের প্রাণটা খোয়াতে হলো বেচারাকে।
অসংলগ্ন কথা বলতে বলতে রাস্তায় হাঁটে পথশিশু রিপন। কী বলছে, তা বুঝতে পেরে চমকে গেল জেসমিন চৌধুরী।
ঘটনাগুলোর সাথে কোনো সংযোগ ছিল না আবরারের। পাকেচক্রে জড়িয়ে গেল। ডিবির স্পেশাল ব্রাঞ্চ হঠাত ওকে নিয়ে কেন মাথা ঘামাচ্ছে? জট পাকিয়ে উঠছে রহস্য।
দাদুভাই ইস্কান্দর মীর্জার চিঠি হাতে নিয়ে এসেছে অদ্ভুত এক মানুষ। চাকরির জন্য ঢাকা শহরে আগমন জিন্নাতুল হুদার। তাহলে ওর হাত ধরে কেন চমকে গেল আবরার? হাজার বছরের পুরনো এক শক্তির দেখা অবশেষে পেল সে?
প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার জন্য তৈরি হলো আবরার আলাদিন মীর্জা…
৳ 275 ৳ 206
360 in stock
Book Details
Author | Ahnaf Tahmid |
---|---|
Cover Designer | Adnan Ahmed Rizon |
Language | Bangla |
ISBN | 9789849405252 |
Page Number | 120 |
Release Date | February 2018 |
Ashikur Rahman –
মোটামুটি আমরা সবাই আলাদিনের জাদুর চেরাগের গল্প শুনে বড় হয়েছি। চেরাগে ঘষে জ্বিন হাজির করলেই তিনটা ইচ্ছে পূরণ করা যায়। কমিক বই, টিভি, রূপালী পর্দা- সব জায়গাতেই এই গরিব আলাদিনের রাজকন্যার সাথে মধুরেন সমাপয়েৎ এর কিসসা শুনে-পড়ে-দেখে এসেছি। আহনাফ তাহমিদের বই “আলাদিন” এর ঘোষণা দেখে সেজন্য তেমন একটা তাগিদ অনুভব করিনি পড়বার। কারণ হয়তো দেখা গেল নতুন বোতলেই পুরানো মদ নিয়ে এসেছে। লেখকের সাথে আমি পরিচিতও না, আগে কখনো নাম শুনিনি তার কোনো মৌলিক বইয়ের (পরে দেখলাম এটাই তার প্রথম মৌলিক বই)। কাহিনী সংক্ষেপ দেখেও এড়িয়ে গিয়েছিলাম কেন জানি। অবশেষে হাতের কাছে পেয়ে পড়ে ফেললাম আলাদিন। ছোট্ট কলেবরের বইটি পড়তে খুব বেশি সময় লাগেনি। কেমন লাগল? জনরায় ফেলতে গেলে আরবান ফ্যান্টাসি/থ্রিলার ক্যাটাগরিতে পড়ে আলাদিন। লেখকের প্রথম বই হিসেবে চমৎকার একটা প্লট নিয়ে কাজ শুরু করেছেন বলা যায়। পাঠককে আকর্ষণ করতে প্রথম কয়েক পৃষ্ঠাই যথেষ্ট। তবে, এরপর কাহিনী যত এগিয়েছে, লেখার বুনটে ঢিল পড়েছে কিছুটা। তবে সেটা আবার কাটিয়ে উঠেছেন খুব দ্রুতই। বইয়ের চরিত্র হাতে গোণা কয়েকটা, তাদের কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে প্লট। তবে লেখকের ভাষ্যমতে, গল্প কেবল শুরু। আরও অনেক পথ বাকি রয়ে গেছে। আর এখানেই আলাদিনের সার্থকতা। কারণ প্রতিটি চরিত্রের পেছনে আছে নিজস্ব মোটিভ, ইতিহাস- আর সেগুলো জানবার জন্য পাঠক ব্যগ্র হয়ে পড়বে জানা কথা। কারণ গোটা উপন্যাসটাই ইঙ্গিত দেয় আগামীতে বড় প্লটে, আরও চরিত্রের আগমনের মাধ্যমে বিস্তৃত আকারে বলা হবে আলাদিনের কিসসা। বিশেষ করে ইস্কান্দর আর সাইফারের চরিত্র দুটো নজর কেড়েছে। সদ্য প্রাপ্ত শক্তি নিয়ে আলাদিন কীভাবে শত্রুদের মোকাবেলা করে তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। বইয়ের বর্ণনা ভঙ্গি কিছু জায়গায় আড়ষ্ট, অপ্রতুল লেগেছে, অ্যাকশন দৃশ্যগুলোও টানটান হয়নি। তবে সেটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা যায় কারণ প্রথম লেখায় কিছুটা কাঁচা ভাব থাকাটা অস্বাভাবিক না। তবে সেটা পুষিয়ে গেছে উপভোগ্য একটা প্লট আর মেদহীন লেখনীর কারণে।ব্যক্তিগত ভাবে আরবান ফ্যান্টাসি আমার পছন্দের জনরা। আর সেখানে বাংলা সাহিত্যে কাজ হয়েছে অল্প কয়েকটা। সেখানে আলাদিন নিজের জায়গা সুদৃঢ় করে নিতে পারবে বলেই আমার আশা রয়েছে। খুঁত বলতে কিছু জায়গায় বানান ভুল পেয়েছি যেটা দৃষ্টিকটু লেগেছে। বইয়ের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদের কারিগর আদনান আহমেদ রিজন।